বাংলাদেশে সরকারি চাকরি আজকাল শুধু একটি পেশা নয়, বরং স্থিতিশীল জীবনের প্রতীক। আর প্রযুক্তি খাতে চাকরির কথা উঠলেই প্রথমেই যে নামটি মনে আসে তা হলো আইসিটি দপ্তর (ICT) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫। বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাত দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই দপ্তরে চাকরি মানে শুধুমাত্র বেতন নয়, বরং দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রায় সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ।
এবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ৪৯৭ জন নতুন জনবল নেওয়া হবে, যা তরুণদের জন্য বিশাল একটি সুযোগ। একদিকে চাকরির নিরাপত্তা, অন্যদিকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ—এই দুইয়ের সমন্বয়েই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ICT দপ্তরের নিয়োগ নিয়ে এত উচ্ছ্বাস। এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো পদসংখ্যা, যোগ্যতা, আবেদনের পদ্ধতি, পরীক্ষার নিয়মাবলী এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে।
কেন আইসিটি দপ্তরের চাকরি এত জনপ্রিয়
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি সবসময়ই নিরাপদ জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তবে আইসিটি দপ্তরের চাকরি এর চেয়েও বেশি কিছু। কারণ এখানে কাজ করলে আপনি শুধু মাসিক বেতনই পাবেন না, পাবেন নতুন প্রযুক্তি শেখার সুযোগ, অভিজ্ঞতা এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়ন পরিকল্পনায় সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ।
একবার ভেবে দেখুন, আজকের বিশ্বে প্রযুক্তি ছাড়া কিছুই কল্পনা করা যায় না। মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে ই-গভর্নেন্স—সবখানেই প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই বাস্তবতায় আইসিটি দপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা মানে দেশের উন্নয়নের একজন সৈনিক হওয়া। আর এই দায়িত্ব পালন আপনাকে গর্বিত করবে।
চাকরির ক্ষেত্রে বেতন কাঠামোও বেশ আকর্ষণীয়। তাছাড়া সরকারি চাকরির সুবিধা যেমন পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, এবং অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধাও যুক্ত থাকবে। তাই ICT দপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আজ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত বিষয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মূল তথ্য এক নজরে
নিচের টেবিলে দেওয়া হলো আইসিটি দপ্তর (ICT) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো একসাথে।
বিষয় | তথ্য |
---|---|
প্রতিষ্ঠানের নাম | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ |
পদের সংখ্যা | ৪৯৭টি |
পদ ক্যাটাগরি | ১টি |
বেতন স্কেল | ৮,২৫০ – ২০,০১০ টাকা |
যোগ্যতা | ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান |
বয়স সীমা | ১৮-৩০ বছর (কোটা অনুযায়ী ৩২ বছর) |
আবেদন শুরুর তারিখ | ১৮ আগস্ট ২০২৫ |
আবেদন শেষ তারিখ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ |
আবেদন মাধ্যম | অনলাইনে (http://doict.teletalk.com.bd) |
চাকরির ধরণ | সরকারি |
প্রকাশনার তারিখ | ১৭ আগস্ট ২০২৫ |
চাকরির জন্য যোগ্যতার বিস্তারিত আলোচনা
আইসিটি দপ্তরে চাকরির জন্য প্রার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রথমেই বয়সসীমা। সাধারণ প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর, তবে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটায় আবেদনকারীদের জন্য বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও বেশ সরল মানদণ্ড রাখা হয়েছে। ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই এই চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে। তবে অনেক প্রার্থীর জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ, কারণ শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি না হলেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এছাড়া প্রার্থীর শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা আবশ্যক। যেহেতু এটি সরকারি চাকরি, তাই প্রার্থীর চরিত্রগত সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।
আবেদন প্রক্রিয়া সহজ ও সম্পূর্ণ অনলাইন
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে আবেদন প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ করা হয়েছে। আইসিটি দপ্তর (ICT) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ এও অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে নিচে দেওয়া হলো:
-
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (http://doict.teletalk.com.bd) প্রবেশ করুন।
-
“Application Form” এ ক্লিক করুন।
-
পদের নাম নির্বাচন করুন।
-
নিজের তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
-
সদ্য তোলা রঙিন ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করুন (ছবি ৩০০x৩০০px, স্বাক্ষর ৩০০x৮০px)।
-
আবেদন জমা দিয়ে আবেদন কপি ডাউনলোড করুন।
-
SMS-এর মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দিন (৫৬ টাকা)।
এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ায় প্রার্থীরা ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দেওয়ার ঝামেলা নেই।
নিয়োগ পরীক্ষার ধাপসমূহ
আইসিটি দপ্তরের চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা মোট তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।
-
লিখিত পরীক্ষা: সাধারণ জ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে প্রশ্ন থাকবে।
-
মৌখিক পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
-
দক্ষতা পরীক্ষা: কম্পিউটার ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত দক্ষতা যাচাই করা হবে।
এই তিন ধাপের পরীক্ষায় সফল প্রার্থীরাই চূড়ান্ত নিয়োগ পাবেন।
কেন ICT দপ্তরের চাকরি ভবিষ্যতের জন্য সেরা
এখনকার তরুণ প্রজন্ম সরকারি চাকরি নিয়ে অনেকটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কারণ তারা মনে করে সরকারি চাকরি মানে পুরোনো ধাঁচের অফিসকাজ। কিন্তু ICT দপ্তরের চাকরি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ভাবুন তো, আপনার কাজের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়া হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা কোনো বেসরকারি চাকরিতে সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। এখানে কাজ করলে আপনার ক্যারিয়ারে যেমন উন্নতি হবে, তেমনি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার তৃপ্তিও মিলবে।
এছাড়া ICT দপ্তরের চাকরিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। সরকারি চাকরির নিরাপত্তা তো রয়েছেই।
আইসিটি দপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫: পদসংখ্যা বিশ্লেষণ
এবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সবচেয়ে বড় পদ হলো অফিস সহায়ক। এখানে মোট ৪৯৭টি পদ খালি রয়েছে। এই পদে আবেদন করার জন্য প্রার্থীর ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানের সনদ থাকতে হবে।
বেতন কাঠামোও বেশ আকর্ষণীয়। সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী এই পদের বেতন হবে ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য সরকারি সুবিধা যেমন বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি পাওয়া যাবে।
সরকারি চাকরির বাজারে এত সংখ্যক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়া তরুণদের জন্য বিরল একটি সুযোগ। যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি অবশ্যই একটি গেমচেঞ্জার হতে পারে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অফিসিয়াল নোটিশ ও ডাউনলোড সুবিধা
আইসিটি দপ্তরের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির PDF ও ইমেজ ফাইলও অনলাইনে দেওয়া আছে। প্রার্থীরা সহজেই বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ডাউনলোড করা বিজ্ঞপ্তি পড়লে প্রার্থীরা স্পষ্ট ধারণা পাবেন আবেদনের শেষ তারিখ, ফি জমা দেওয়ার নিয়ম এবং অন্যান্য শর্ত সম্পর্কে। তাই যেকোনো বিভ্রান্তি এড়াতে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিটি ভালোভাবে পড়ে নেওয়া জরুরি।
অনলাইনে আবেদন ফি জমা দেওয়ার সহজ প্রক্রিয়া
আইসিটি দপ্তরের চাকরির আবেদন ফি মাত্র ৫৬ টাকা, যা টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে SMS করে জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার পর একটি User ID দেওয়া হবে, যা ব্যবহার করে SMS পাঠিয়ে ফি জমা দিতে হবে।
প্রক্রিয়াটি নিচে দেওয়া হলো:
-
প্রথম SMS:
DoICT <Space> User ID
লিখে 16222 নম্বরে পাঠান। -
ফিরতি SMS এ একটি PIN নম্বর দেওয়া হবে।
-
দ্বিতীয় SMS:
DoICT <Space> YES <Space> PIN
লিখে 16222 নম্বরে পাঠান। -
দ্বিতীয় SMS সফল হলে আবেদন ফি কেটে যাবে এবং একটি Password পাওয়া যাবে।
এই Password এবং User ID পরে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য কাজে লাগবে। তাই এগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার নিয়ম
চাকরির পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা Admit Card প্রকাশিত হলে প্রার্থীদের SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে। শুধুমাত্র যোগ্য প্রার্থীরাই SMS পাবেন। SMS পাওয়ার পর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে:
-
http://doict.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
-
User ID এবং Password দিয়ে লগইন করুন।
-
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট করুন।
প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না। তাই এটি সঠিকভাবে প্রিন্ট ও সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছু কার্যকর টিপস
আইসিটি দপ্তরের চাকরিতে প্রতিযোগিতা সবসময়ই বেশি থাকে। তাই শুধু আবেদন করলেই হবে না, বরং সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
-
লিখিত পরীক্ষার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করুন: বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান ভালোভাবে পড়তে হবে।
-
প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখুন: ICT দপ্তরের চাকরি প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট। তাই কম্পিউটার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি।
-
পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন সমাধান করুন: আগের বছরের প্রশ্ন দেখে পরীক্ষার ধরণ বুঝে নিন।
-
সময় ব্যবস্থাপনা শিখুন: পরীক্ষার হলে সময় সঠিকভাবে ব্যবহারের দক্ষতা গড়ে তুলুন।
-
আত্মবিশ্বাসী থাকুন: আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
আইসিটি দপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এগুলো না থাকলে প্রার্থীর আবেদন বাতিল হতে পারে। নিচে কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলো:
-
শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্র (মূল কপি)।
-
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ।
-
নাগরিকত্ব সনদ।
-
মুক্তিযোদ্ধা সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)।
-
শারীরিক প্রতিবন্ধিতা সনদ (যদি থাকে)।
-
চরিত্র সনদ।
-
আবেদন কপি (Applicant’s Copy)।
-
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)।
সব কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
প্রযুক্তি খাতে কাজ করার এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন সেবা, ই-গভর্নেন্স, স্মার্ট সিটি প্রজেক্ট—সব ক্ষেত্রেই ICT দপ্তরের ভূমিকা অনন্য।
এখানে কাজ করলে আপনি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখবেন। প্রতিটি প্রজেক্টে নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সৃজনশীল সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ থাকে। এই অভিজ্ঞতা আপনার পেশাগত জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
একজন ICT দপ্তরের কর্মী হিসেবে আপনি শুধু নিজের উন্নতি করবেন না, বরং দেশের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি অবকাঠামো তৈরির অংশ হবেন।
পদোন্নতি ও ক্যারিয়ার উন্নতির সুযোগ
সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ICT দপ্তরে কাজ করলে সময়মতো পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা উন্নত করা হয়।
আপনি যদি প্রযুক্তিতে আগ্রহী হন, তাহলে এই দপ্তর আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সেরা জায়গা। সরকারি চাকরির সুবিধা যেমন স্থায়ী চাকরি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি তো রয়েছেই।
কেন ICT দপ্তরের চাকরি নতুন প্রজন্মের জন্য আদর্শ
বর্তমান তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিপ্রেমী। তারা চায় নতুন প্রযুক্তির সাথে কাজ করতে। ICT দপ্তরের চাকরি ঠিক সেই সুযোগ এনে দেয়। এখানে কাজ করে আপনি দেশের আইটি খাতের উন্নয়নের অগ্রভাগে থাকতে পারবেন।
সরকারি চাকরির স্থিতিশীলতা, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ এবং নতুন কিছু শেখার পরিবেশ—এই তিনটি সুবিধা একসাথে পাওয়া ICT দপ্তর ছাড়া অন্য কোথাও এত সহজ নয়।
সতর্কতা: প্রতারণা থেকে সাবধান
যেকোনো সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সময় প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা দালালরা প্রার্থীদের প্রতারিত করে। মনে রাখবেন, আইসিটি দপ্তর (ICT) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫-এ চাকরি পেতে কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন নেই।
সবসময় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞপ্তি যাচাই করুন এবং আবেদন করুন। অজানা কারও মাধ্যমে টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করলে আপনার ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
ICT দপ্তরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে ২০১১ সালে ICT দপ্তরের সূচনা হয়। ২০১৪ সালে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং ICT মন্ত্রণালয় একত্রিত হয়ে বর্তমান রূপ পায়। আজকের দিনে এই দপ্তর দেশের প্রযুক্তি উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
এই দপ্তরের ভিশন হলো “সোনার বাংলা বিনির্মাণে জনবান্ধব তথ্যপ্রযুক্তি”। ICT দপ্তর কাজ করছে দেশের প্রতিটি নাগরিককে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনতে।
উপসংহার: সুযোগ হাতছাড়া করবেন না
আইসিটি দপ্তর (ICT) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ শুধু একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি নয়, এটি একটি জীবন বদলে দেওয়ার সুযোগ। যারা সরকারি চাকরিতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই নিয়োগ অসাধারণ সুযোগ এনে দিয়েছে।
৪৯৭টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া এমন এক সময় শুরু হয়েছে, যখন দেশে প্রযুক্তি খাত সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দেরি না করে এখনই অনলাইনে আবেদন করুন, পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন, এবং নিজের ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করুন।
সরকারি চাকরির নিরাপত্তা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ, পদোন্নতির সম্ভাবনা এবং জাতীয় উন্নয়নের অংশ হওয়ার গর্ব—সব একসাথে পাবেন ICT দপ্তরে চাকরি করে।
Welcome to BD Govt Job Circulars – Your Trusted Source for All Government Job Updates in Bangladesh!