১. কোনো একটি মাধ্যমের প্রতিসরণাঙ্ক কি সবসময় একই থাকে?
উত্তর: না, সবসময় একই থাকে না। প্রতিসরণাঙ্ক নির্ভর করে—
১. মাধ্যমের প্রকৃতি এবং
২. আলোর রঙের ওপর।
তাই মাধ্যমের প্রকৃতি বা আলোর রঙ পরিবর্তন হলে প্রতিসরণাঙ্কও পরিবর্তিত হয়।
২. প্রতিসরণের সময় মাধ্যমের ঘনত্বভেদে আলোর দিক কেন বদলায়?
উত্তর: আলো হালকা মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্বের দিকে সরে আসে। আর ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।
৩. ক্রান্তি কোণ কি আলোর গতির ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর: হ্যাঁ, ক্রান্তি কোণ আলোর গতির ওপর নির্ভর করে। কারণ, আলোর বেগ মাধ্যম ও আলোর রঙ অনুযায়ী ভিন্ন হয়। যেহেতু ক্রান্তি কোণ এই বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই আলোর বেগ পরিবর্তন হলে ক্রান্তি কোণও পরিবর্তিত হয়।
৪. যদি আপতন কোণ ক্রান্তি কোণের সমান হয়, তখন কী ঘটে?
উত্তর: তখন প্রতিসরণ কোণ হয় ৯০°। অর্থাৎ প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদতল বরাবর ছড়িয়ে যায়।
৫. অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার কী কী?
উত্তর:
- বাঁকা পথে আলো বহনের জন্য।
- চোখ, নাক, গলা ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রে।
- রোগীর দেহের ভেতরের অংশ দেখার জন্য (এন্ডোস্কোপি)।
- যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানের জন্য।
৬. মরুভূমিতে মরীচিকা কেন দেখা যায়?
উত্তর: মরীচিকা আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কারণে সৃষ্টি হয়। গরম বালির কাছাকাছি বায়ু হালকা হয় আর উপরের বায়ু তুলনামূলক ঘন থাকে। ফলে আলো নিচের হালকা বায়ুতে প্রবেশ করে প্রতিসরণের পরিবর্তে প্রতিফলিত হয় এবং দূরে জলের মত দেখায়।
৭. অপটিক্যাল ফাইবারে কীভাবে আলো বহন করা হয়?
উত্তর: অপটিক্যাল ফাইবার কাচ বা প্লাস্টিকের তৈরি সরু ও নমনীয় তন্তু। ভেতরের অংশের প্রতিসরণাঙ্ক বেশি এবং বাইরের আবরণের প্রতিসরণাঙ্ক কম থাকে। এর ফলে আলো ভেতরে প্রবেশ করলে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ফাইবারের অপর প্রান্তে পৌঁছে যায়।
৮. চিকিৎসায় অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার কীভাবে হয়?
উত্তর: রোগীর পাকস্থলী বা দেহের ভেতরের অংশ দেখার জন্য আলোক নল ব্যবহার করা হয়। এ নলের একটি ফাইবার সেট দিয়ে আলো ভেতরে পাঠানো হয় এবং অন্য সেট দিয়ে প্রতিফলিত আলো বাইরে এনে চিকিৎসক দেখতে পারেন। এই প্রক্রিয়াকে এন্ডোস্কোপি বলা হয়। এভাবে হৃদপিণ্ড, ধমনি বা শিরার সমস্যাও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
৯. লেন্সে রশ্মি চিত্র আঁকার নিয়মগুলো কী?
উত্তর:
১. লেন্সের আলোককেন্দ্র দিয়ে আসা রশ্মি সোজা চলে যায়।
২. প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মি উত্তল লেন্সে ফোকাস দিয়ে যায় এবং অবতল লেন্সে ফোকাস থেকে আসছে বলে মনে হয়।
৩. ফোকাস দিয়ে আসা রশ্মি প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হয়ে যায়।
১০. উত্তল লেন্সে কীভাবে প্রতিবিম্ব তৈরি হয়?
উত্তর: বস্তু থেকে আসা একটি রশ্মি যদি লেন্সের আলোককেন্দ্র দিয়ে যায় তবে এটি দিক পরিবর্তন করে না। অন্য একটি রশ্মি প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হলে প্রতিসরণের পর ফোকাস দিয়ে যায়। এই দুটি রশ্মি মিলিত হলে যেখানে মিলিত হয়, সেখানেই বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
১১. পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটার শর্ত কী?
উত্তর:
১. আলোকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে।
২. আপতন কোণ অবশ্যই সঙ্কট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।
১২. সঙ্কট কোণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, তখন এক বিশেষ আপতন কোণে প্রতিসরণ কোণ হয় ৯০°। এই বিশেষ আপতন কোণকেই সঙ্কট কোণ বলা হয়।
১৩. অপটিক্যাল ফাইবারের আবরণে প্রতিসরণাঙ্ক কম দেওয়া হয় কেন?
উত্তর: আবরণের প্রতিসরণাঙ্ক ভেতরের কাচতন্তুর চেয়ে কম রাখার ফলে আলো ভেতরে প্রবেশ করলে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে এবং আলো বের হয়ে যায় না। এভাবেই ফাইবার আলো বহন করতে সক্ষম হয়।
১৪. প্রিজমে আলো প্রবেশ করলে কী ঘটে?
উত্তর: প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলো গেলে প্রতিসরণ ঘটে এবং আলোর রঙ ভেঙে বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত হতে পারে। এটাকে আলোর বিকিরণ বলে।
১৫. লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য কী?
উত্তর: লেন্সে প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোর রশ্মি প্রতিসরণের পর যেখানে মিলিত হয় (উত্তল লেন্সে) বা মিলিত হতে মনে হয় (অবতল লেন্সে), লেন্সের কেন্দ্র থেকে সেই বিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাল দৈর্ঘ্য বলে।
১৬. উত্তল লেন্সকে কেন অভিসারী লেন্স বলা হয়?
উত্তর: উত্তল লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুলোকে প্রতিসরণের পর এক বিন্দুতে মিলিত করে। এজন্য এটিকে অভিসারী লেন্স বলা হয়।
১৭. অবতল লেন্সকে কেন অপসারী লেন্স বলা হয়?
উত্তর: অবতল লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুলোকে প্রতিসরণের পর ছড়িয়ে দেয়। এজন্য একে অপসারী লেন্স বলা হয়।
১৮. আলোর বিক্ষেপণ (Dispersion) বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সাদা আলো যখন প্রিজমের মধ্যে দিয়ে যায় তখন এটি বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত হয়। আলোর এই রঙে বিভক্ত হওয়ার ঘটনাকে বিক্ষেপণ বলে।
১৯. চক্ষুলেন্সের কাজ কী?
উত্তর: মানুষের চোখে থাকা লেন্স আলোকে প্রতিসরিত করে রেটিনায় প্রতিবিম্ব তৈরি করে। এর মাধ্যমেই আমরা স্পষ্টভাবে বস্তু দেখতে পাই।
২০. দৈনন্দিন জীবনে প্রতিসরণের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তর: পানিভর্তি গ্লাসে রাখা একটি কলম বা চামচ বাঁকা বা ভাঙা মনে হয়। এটি প্রতিসরণের একটি সাধারণ উদাহরণ।

Welcome to BD Govt Job Circulars – Your Trusted Source for All Government Job Updates in Bangladesh!